ইউটিউবে কপিরাইট ভায়োলেশন কী করে হয়?

ইউটিউবে কপিরাইট ভায়োলেশন কী করে হয়?

ইউটিউবে কপিরাইট ভায়োলেশন ঘটে যখন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের কপিরাইট করা কন্টেন্ট (যেমন গান, ভিডিও, ছবি, লেখা ইত্যাদি) অনুমতি ছাড়া ইউটিউবে আপলোড করে।

কপিরাইট ভায়োলেশনের প্রধান কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. অনুমতি ছাড়া ভিডিও আপলোড করা: অন্যের কপিরাইট করা ভিডিও, সিনেমা বা টিভি শো কেটে, সম্পাদনা করে বা সরাসরি আপলোড করা। অন্যের বানানো কনটেন্ট হুবহু ব্যবহার করলে কপিরাইট আসবে। তবে সেই বিষয়গুলোকে এস্কপ্লেইন করতে যেয়ে ব্যবহার করলে সাধারণত কপিরাইট আসে না। তাছাড়া প্রয়োজন হলে কপি রাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এই ভিডিওগুলো বিভিন্ন কপিরাইফ্রি সাইটে পাওয়া যায়।

২. মিউজিক বা অডিও ক্লিপ ব্যবহার: কোনো গানের বা অডিও ক্লিপের কপিরাইট মালিকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা। এই ক্ষেত্রে ফেসবুকের জন্য ফেসবুকের মিউজিক স্টোর আছে এবং ইউটিউবের জন্য আছে ইউটিউবের নিজেস্য স্টোর। সাধারণত এই সোর্সগুলো থেকে মিউজিক নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তছাড়া বিভিন্ন কপিরাইট ফ্রি সাইট আছে সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন।

৩. ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার: অনুমতি ছাড়া অন্যের ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করা। অন্যর অনুমতি ছাড়া কোনো ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার থেকে সাবধান থাকুন। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইট আছে যারা কপিরাইট ফ্রি গ্রাফিক্স ও ছবি শেয়ার করে থাকে সেসব সাইট থেকে ছবি নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৪. টেক্সট বা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার: কোনো বই, প্রবন্ধ বা স্ক্রিপ্টের অংশবিশেষ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা।

৫. ফ্যান মেইড কন্টেন্ট: জনপ্রিয় গান, সিনেমা বা অন্যান্য কন্টেন্টের ফ্যান মেইড ভিডিও বা রিমিক্স তৈরি করা যা কপিরাইট ভায়োলেশন হতে পারে।

যদি কপিরাইট মালিক কোনো ভিডিওতে তাদের কপিরাইটের লঙ্ঘন দেখেন, তারা ইউটিউবের মাধ্যমে কপিরাইট ক্লেইম করতে পারেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে:

১. কপিরাইট ক্লেইম: কপিরাইট মালিক ইউটিউবে রিপোর্ট করে ক্লেইম ফাইল করতে পারেন।

২. কপিরাইট স্ট্রাইক: ইউটিউব ভিডিওটি সরিয়ে দিয়ে আপলোডারের চ্যানেলে একটি স্ট্রাইক দেয়। তিনটি স্ট্রাইক পাওয়ার পর চ্যানেলটি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে।

৩. মোনিটাইজেশন ব্লক: ভিডিওটি মনিটাইজ করতে দেওয়া হয় না এবং আয়ের সুযোগ বন্ধ করা হয়।

৪. কপিরাইট ডিসপুট: যদি আপলোডার মনে করেন যে ক্লেইমটি ভুল, তারা ইউটিউবে কপিরাইট ডিসপুট দাখিল করতে পারেন।

এ ধরনের সমস্যাগুলো এড়াতে কপিরাইট মেনে চলা এবং কপিরাইটকৃত কন্টেন্ট ব্যবহার করার আগে অনুমতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment