একটি ভালো কেস স্টাডিতে কী কী থাকতে হয়?

একটি ভাল কেস ষ্টাডির বৈশিষ্ট্য


১. সূচনা সহ পুরো বর্ণনাটির ভাষা হবে ঝরঝরে, অলংকার বা ভারি শব্দ (দুর্বোধ্য) বর্জিত ,স্বচ্ছ ও ষ্পষ্ট।
২. বর্ণনাটি লেখা থাকবে ছোট ছোট বাক্যে। দীর্ঘ, অসম্পূর্ণ ও জটিল কোন বাক্য থাকবে না।
৩. একই শব্দ বা বাক্য অযথাই বারবার ব্যবহৃত হবে না।
৪. লেখায় কোন কাব্যিকতা, উচ্ছাস বা লেখকের মনের আবেগ থাকবে না।আবার কোন প্রবন্ধের মতোও হবে না। সোজা কথাটি সোজা ভাষায় লেখা থাকবে।
৫. রচনাটি দীর্ঘ হলে তা অনুচ্ছেদ বিভক্ত থাকবে।
৬. কেস ষ্টাডির সূচনায় বা বর্ণনায় কোন উদ্ধৃতি ব্যবহার করলে তা ইনভারটেড চিহ্নের মাঝখানে থাকবে। যেমন ’ আমি এখন পড়তে পারি’।
৭. সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ থাকবে না। পুরো বর্ণনাটি থাকবে চলিত ভাষায়।
৮. নেহাৎ প্রয়োজন ছাড়া কোন আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহৃত হবে না। জটিল ও দুর্বোধ্য কোন আঞ্চলিক শব্দ থাকলে বন্ধনীর মধ্যে তার শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ উল্লেখ থাকবে। যেমন: বানের আফালে সব ভাসাইয়া নিছে’ (বন্যার সময় প্রচন্ড ঢেউয়ে সব ভেসে গেছে)
৯. সহজ ও বোধগম্য নয় এমন ইংরেজী শব্দের ব্যবহার থাকবে না।
১০. পুরো কেস ষ্টাডিটি লেখা হবে নির্ভুল বানানে এবং সংক্ষিপ্ত, বস্তুনিষ্ট ও আকর্ষণীয়ভাবে।
১১. যাকে বা যাদের কেন্দ্র করে কেস ষ্টাডি লেখা হবে তার বা তাদের পূর্ণ নাম,ঠিকানা,বয়স,পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে ঘটনাটি অবাস্তব বা কাল্পনিক কাহিনী মনে হবে না।
১২. প্রয়োজনীয় তারিখ এবং সংখ্যাগত তথ্যগুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

(মনে রাখতে হবে লেখাটি কোন বিশেষ অঞ্চলের জন্য নয়, বা বিশেষ কোন পাঠকের জন্যও নয়।
যে কেউ এটা পড়তে পারেন।)

কেস স্ট্যাডি লিখার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহঃ
১. কেস স্ট্যাডির সংক্ষিপ্ত নামকরণ : এই নামকরণ সার্বিকভাবে কেস স্ট্যাডির বিষয় উপস্থাপন করে কিনা? এই নামকরণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম কি না?
২. সাধারণ তথ্য: নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, পরিবারের সদস্য সংখ্যা (ছেলে, মেয়ে), বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশা।
৩. প্রেক্ষাপট নির্ধারণ : বর্তমান পরিবর্তনের পূর্বে অবস্থা কেমন ছিল সেই সম্পর্কিত তথ্য, য সমস্যাকে কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরসন করা হয়েছে কেন তা গুরুত্বপূর্ণ তা বলা হয়েছে কি না? মুল ব্যক্তি বা কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে কিনা? বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝানোর জন্য পারিপার্শিক তথ্য দেয়া হয়েছে কিনা? মুল ব্যক্তি বা বিষয় প্রসঙ্গে/ প্রাসঙ্গিক কোন উক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে কিনা)
৪. কর্মসূচির প্রভাব : কি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং কেন তা লক্ষণীয়?
৫. পূর্ববতী অবস্থা: পরিবারের আর্থিক অবস্থা, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান, শিক্ষাগত অবস্থা (নিজের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যবর্গ)।
৬. সংস্থার সাথে সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা প্রাপ্তি: বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ততার বছর (যদি সম্ভব হয় তাহলে তারিখ উল্লেখ করা), সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা (প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, ইস্যূভিত্তিক আলোচনা, সম্পদ, ঋণ, পরামর্শ ইত্যাদি)।
৭. পরিবর্তন (গুণগত ও সংখ্যাগত ): নিজের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যবর্গের ঋণ, সঞ্চয়, সাক্ষর জ্ঞান, আইজিএ পরিচালনা, ছেলে-মেয়ের শিক্ষা, অধিকার, স্থানীয় সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও প্রবেশাধিকারের প্রক্রিয়া, স্থায়ী সম্পদ (গৃহ, আসবাবপত্র, ভূমি ইত্যাদি) এর পরিমাণ, ব্যবসায় নিয়োজিত মালামাল ক্রয়-বিক্রয়, চলাচল, পারিবারিক ও সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, পরিবারের আয়-ব্যয়, স্বাস্থ্য ও পারিবারিক আইন সচেতনতা এবং সামাজিক অবস্থা ও অবস্থান ইত্যাদি।
৮. অনুভূতি প্রকাশ: সদস্য হিসাবে/সংস্থার অংশীজন হিসাবে।
৯. ভবিষ্যত পরিকল্পনা: স্বপ্ন ও জীবনমানের পরিবর্তন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রাপ্তি।
১০. তথ্য সংগ্রহকারীর মন্তব্য/সুপারিশ :

Leave a Comment