ওজন কমানোর কৌশল
ওজন কমানোর রহস্য অনেকেই জানতে চায়। অনেকে দ্রুত ওজন কমাতে চায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমিয়ে ঝরঝরে হয়ে পড়তে চান অনেকে। কিন্তু ওজন কমানো আর হয়ে ওঠে না। ওজন কমানোর কৌশলগুলো আসলে বোতলজাত সিরাপের মত না। আপনি কিনলেন, খেয়ে নিলেন কাজ হয়ে গেল। ডাক্তাররা নানা ধরণের পরামর্শ প্রদান করেন। তারা অনেক ধরণের বিষয় সুপারিশ করেন। আপনার খদ্যাভ্যাস, আপনার জীবনযাপনের নানা ধরণের অভ্যাসগুলো বিবেচনা করেই তারা নানা ধরণের কৌশল বাতলে দেন। কিন্তু আপনি দ্রুত হচ্ছে না ভেবে হতাশ হয়ে পড়েন। আপনি সেই পরামর্শগুলোকে উপেক্ষা করতে থাকেন।
ওজন কমাতে হলে আপনাকে যা মানতে হবে।
১.সঠিক সময়ে খাওয়া
২. পরিমাণ মত আহার
৩. ব্যায়াম
৪. কম ক্যালোরি গ্রহণ
৫. মেটাবলিজম বাড়ানো।
ওজন কমানোর জন্য অনেকে ঔষধ গ্রহণ করেন। নানা ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপনে বাজারে ওজন কমানোর নানা ওষধ রয়েছে। ডাক্তাররা হয়তো নানা কারণে কোম্পানি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেই সব ওষধগুলো লিখছেন। অভিনেতারা বিজ্ঞাপন করছেন তারা নিজেরাও এই ঔষধ খেয়ে দেখেননি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিথ্যা তথ্য দিয়ে টাকার বিনিময়ে ক্রটিযুক্ত গবেষণাপ্রত্র প্রকাশ করে। আপনি নিজের ওপর আস্থা রাখছেন না। একজন ভালো নিউট্রোশনিস্ট এর কাছ থেকে আপনার ডায়েট চার্ট তৈরি করছেন না। আপনি প্রয়োজনের অধিক খাদ্য গ্রহণ করছেন কিন্তু কায়িক শ্রম করছেন না। আবার ভাবছেন আপনার শরীরের ওজন কম থাকবে।
ওজন কমানোর জন্য আপনাকে না খেয়ে থাকতে বলা হচ্ছে না। আপনি সুস্বাদু খাবার খেতে পারন, প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন। তবে আপনার খাদ্যাভ্যাসে বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকবে। আপনি কম বাজে ক্যালোরি গ্রহণ করবেন এবং এভাবে আপনার ওজন কিছুটা ভালো রাখতে পারবেন। আপনি ভাবছেন আপনাকে সবসময় ব্যায়াম করতে হবে। তা কিন্তু নয়। রুটিন করে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বায়্যাম করার অভ্যাস করুন। খোলা যায়গায় আধা ঘন্টা হালকা গতিতে দৌড়ান। এভাবে আপনার শরীর থেকে বাজে ফ্যাট ঝড়ে যাবে। আপনার শরীর দেখবেন একসময় আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আপনার শরীরকে বন্ধু ভেবে এভাবে সহায়তা করতে পারেন।
চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। তেলে ভাজা খাবার কম খাবেন। টক দই যুক্ত সালাদ রাখুন সন্ধ্যার নাস্তায়। এই সময়টাতে মানুষ একটু ভাজাপোড়া খেতে চায়। টমেটোর সময় টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেতে পারেন। দ্রুত ওজন কমানোর নানা কৌশল ও ঔষধের ছড়াছড়ি বাজারে। এগুলোতে বিশ্বাস করবেন না। ঔষধ সেবন করে ওজন কমানোর থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টাগুলো করে গেলে দেখবেন দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনি বেশ চনমনে বোধ করছেন। এবং আপনাকে বেশ হালকা লাগছে। শরীর বন্ধু আপনাকে ভালোবেসে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।