বানান সচেতনতা কেমন করে বাড়ানো যায়?

বানান সচেতনতা কেমন করে বাড়ানো যায়?

আমরা সাধারণত নিজ ভাষা শুদ্ধভাবে লেখায় কিংবা প্রয়োগে সচেতন নই। অনেক সময়ই আমরা ভুল প্রয়োগ করে থাকি। ভুলগুলোকে আমরা ভুল হিসেবে মেনে নিতেও চাই না। মুখস্ত বিদ্যায় ভাষার প্রয়োগ শেখা হয় না। ইংরেজি ভাষার বানান শেখার ক্ষেত্রে আমরা যতটা গুরুত্ব দিই নিজ ভাষা শেখার ক্ষেত্রে তেমনটা দিতে চাই না। তাই ছোটকাল থেকেই শিশুদের বানানের ব্যবহার শেখানো উচিত। বাংলা ভাষার প্রতি ১৯৫২ সালে জাতি যেমন আবেগ দেখিয়েছে কিন্তু সেই আবেগের সঠিক অনুবাদ হয়নি স্বাধীন দেশে। বানান শুদ্ধ করে লেখার জন্য প্রয়োজন বানানের প্রতি ভালোবাসা। বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে লিখতে না পারার অন্যতম কারণ অসাবধানতা ও অমনোযোগিতা। তাই নিজ ভাষা লিখতে একটু সচেতনতা ও মনোযোগ জরুরি। বানান শুদ্ধ করার জন্য আমরা কিছু নিয়ম শিখতে পারি।

বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা একাডেমির বাংলা বানানের নিয়ম শুদ্ধভাবে বাংলা বানান লেখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম বইটি সহজ। যদি বানান সচেতন হয়ে থাকেন তবে বইটি আজই সংগ্রহ করুন।

শব্দের উচ্চারণ, শব্দ গঠনের ত্রুটি, শব্দের অর্থ সম্পর্কে না জানা

আমরা অনেক সময় শব্দের আঞ্চলিক উচ্চারণের সাথে মিল রেখে বাংলা শব্দ লিখে থাকি। বানান অশুদ্ধভাবে লেখার এটা একটা প্রধান কারণ। আঞ্চলিক ভাষায় কিছু লিখলে আঞ্চলিক উচ্চারণ মেনে লেখা যেতেই পারে। কিন্তু প্রমিত বাংলার লেখা লিখলে অবশ্যই প্রমিত নিয়ম মেনেই লিখতে হবে। এই সময়ে অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে বাংলা বানান লেখার প্রচুর ভুল পাওয়া যাচ্ছে। যেমন- যাই অর্থে যায় লেখা। পায় অর্থে পাই লেখা ইত্যাদি। আঞ্চলিক উচ্চারণ বিকৃতি থেকে বের হয়ে আসলেই এই ভুলগুলো থেকে বাঁচা সম্ভব।

পরবর্তী লেখায় আমরা শব্দের গঠনরীতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। কারণ শব্দের গঠনরীতি না মানার কারণে বানান অশুদ্ধ হয়ে থাকে। শব্দ গঠনের নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকলে বানান কম ভুল হবে। অন্যদিকে শব্দের অর্থ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেও অনেক সময় শব্দের সঠিক প্রয়োগ হয় না। যেমন- পত্রের শুরুতে সুধী এবং সুধি নামে উভয় শব্দ আমরা দেখতে পাই। অনেকে মনে করেন বাংলা একাডেমি বানান লেখার ক্ষেত্রে ি কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তাই সুধী বানানকে সুধি হিসেবে লিখতে হবে। কিন্তু চিঠি পত্রের শুরুতে যে অর্থে সুধী লেখা হয় তা সুধি বানানে পাওয়া যায় না। আবার অধিক অর্থে বেশী বানান লিখে থাকেন। যা একেবারেই ঠিক না। বেশী মানে বেশ আছে যার। ছদ্মবেশী। এই ক্ষেত্রে বেশি অর্থে বানান বেশিই লিখতে হবে।

Leave a Comment