সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কীভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কীভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইশনের জন্য পূর্বে লিংক বিল্ডিং ছিলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েব সাইটে বেশি বেশি ব্যাকলিংক আনতে পারলে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের র্যাং কিং তত বেশি এগিয়ে যেত। বর্তমানে এই পদ্ধতি তেমন কাজ করে না। একটি ওয়েবসাইটের বড় বিষয় হচ্ছে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। তাছাড়া আপনার সাইটের গতি কেমন, রেসপন্সিভ ডিজাইন কি না ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় ওয়েবসাইটের র্যাং কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভালো কনটেন্ট থাকলে সার্চ ইঞ্জিন সেই সাইটকে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দেবে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করা

ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারলে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাং ক করে দ্রুত। একটি অপটিমাইজড কনটেন্ট আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই একটি ব্লগ লেখার সময় ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চ করে তারপর ব্লগ লিখুন। আপনার সাইটের কম্পিটিটর খুঁজে বের করতে হবে। তারা একই কিওয়ার্ড কীভাবে ব্যবহার করছে তা দেখতে হবে। প্রতিযোগীদের থেকে আরও সুন্দর করে, আরও বেশি শব্দ ব্যবহার করে ভালো তথ্য যোগ করে কনটেন্ট লিখতে পারলে সাইটে ভিজিটর আসবেই আসবে।

ওয়েব সাইট র‌্যাংক করতে কতদিন লাগে?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন একটি ওয়েবসাইট র‌্যাংক হতে সাধারণত কতদিন লাগে। একটি ওয়েবসাইট হয়ে গেলেই অনলাইনে চলে গেলেই সাথে সাথে র‌্যাংক করবে এমন নয়। ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়। ভালো আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। অনপেজ ও অফপেজ এসইও করতে হয়। কয়েক মাস সময় দিতে হবে এই কাজগুলো করতে। সাধারণ একটি ওয়েবসাইট র্যাং ক হতে ৩-৬ মাস সময় লাগে।

সার্চ ইঞ্জিন কেন র‌্যাংক করবে?

সার্চ ইঞ্জিন মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এসইওর মাধ্যমে তথ্যকে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে তোলা যায়। এসইওর মাধ্যমে মানুষ কী ধরনের তথ্য খুঁজছে, বা কী ধরনের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে চাইছে তা ভালোভাবে জানা যায় এবং সেই বিষয়গুলোর সমাধান আপনার সাইটে দিতে পারলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কনটেন্ট র‌্যাংক করবে। প্রথমে জানুন আপনার দক্ষতা কী আছে এবং এই দক্ষতাগুলো মানুষ কীভাবে খুঁজে বের করতে চায়। সেইভাবে আপনার কনটেন্ট বা ব্লগ সাজান। দেখবেন মানুষের ইচ্ছার পাশে আপনার কনটেন্টের কিওয়ার্ডগুলো শক্তভাবে দাঁড়িয়ে গেছে।

Leave a Comment