অনলাইন থেকে শেখা

অনলাইন থেকে শেখা
একসময় মানুষ লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তো। কোন শেখার ক্ষেত্রে লাইব্রেরি ছিলো মানুষের জন্য আদর্শ স্থান। একসময় অনেকের ঘরে লাইব্রেরি ছিলো। এখন ঘরেই লাইব্রেরিতে ধুলো জমা পড়ছে। মানুষ অনেক কিছুই এখন অনলাইন থেকে শিখছে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে হাল আমলের কোভিড টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে। মানুষ এখন অনেকটাই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। যার হাতে একটি মুঠোফোন আছে এবং সে কোন কিছু জানতে চাইছে- এমন মুহূর্তে সে গুগল করেনি তা বলা যাবে না। যদিও এর সুযোগে গুগলে নানা ধরণের অতথ্যের ভাণ্ডারে পরিণত হচ্ছে। এখন অনেক তথ্যের সত্য মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও অনলাইনে কোন কিছু শিখতে হলে গুগল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট দুনিয়ায় নানা কনটেন্ট মানুষকে বেশ সহায়তা করছে। ইংরেজি শেখার সহজ উপায় থেকে শুরু করে, রান্না, অংক, বিভিন্ন ভাষা, নাটক-সিনেমা তৈরি থেকে কত কিছুই না অনলাইন দুনিয়ায় বিরাজ করছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেখার সুবিধা
বই পড়ে শেখা যায়। কিন্তু ইন্টারনেটে নানা ধরণের কনটেন্ট থাকে। ইন্টারনেটের সেই কনটেন্টগুলো থেকে আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের উপায়গুলো। ইন্টারনেট থেকে শেখার সব থেকে ভালো বিষয় হচ্ছে আপনি যে কোন স্থান থেকে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি শিখতে পারবেন। ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফরমেটের কনটেন্টের মাধ্যমে আপনি সহজেই অনেক কিছু শখতে পারবেন। আপনার স্বাধীনতা রয়েছে আপনি টেক্সট, ইমেজ, অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমের মাঝ থেকে কোন মাধ্যমগুলো আপনি বেছে নেবেন।

অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে আপনি কী শিখতে পারেন
আমরা কোথাও আটকে গেলে গুগলের সহায়তা নিই। ইন্টারনেটে সার্চ করে জানতে চাই। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ তার জ্ঞানকে এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ সহজেই তার পছন্দের বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা কী শিখতে পারবো? এই ধরণের প্রশ্ন মাথায় এলেই আপনারা আরও একটি প্রশ্ন করুন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা কী শিখতে পারবো না? যদি আমরা একটি তালিকা করি যে, ইন্টারনেট থেকে আমরা কী কী শিখতে পারবো তবে কেমন হয়-

১. ইন্টারনেট থেকে সহজেই ইংরেজি ভাষা শেখা সব আরও বিদেশি ভাষা শেখা যাবে।
২. ইান্টারনেট থেকে গান শেখা যাবে।
৩. ইন্টারনেট থেকে ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করা যাবে।
৪. ইন্টারনেট থেকে চিকিৎসার বিভিন্ন গবেষণা সম্পর্কে জানা যাবে।
৫. ইন্টারনেট থেকে ওয়েব ডিজাইন করার সম্পর্কে জানা যাবে।
৬. ইন্টারনেটের মাধ্যমে অংক শেখা যাবে।
৭. ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাহিত্য চর্চা করা যাবে।
৮. ইন্টারনেট থেকে নাটক ও সিনেমা বানানোর কৌশল রপ্ত করতে পারবে।
৯. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনোদন নিতে পারবে।
১০. ইন্টারনেটের মাধ্যমে জীবন ও দর্শন সম্পর্কে জানতে পারবে।
১১. ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
১২. আউটসোর্সিং শেখার উপায়। ইত্যাদি

এভাবে তালিকা করতে থাকলে কতই না তালিকা করা যাবে। অনলাইন থেকে শিখতে হলে জানতে হবে ভালো কনটেন্ট কোনগুলো। ভালো কনটেন্ট বাছাই করার যোগ্যতা তৈরি হয় অফলাইন শিক্ষার মাধ্যমে। শুধু অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে গেলে অনেক সময় উল্টো হতে পারে। অনলাইনে তথ্যর কমতি নাই। অনলাইন থেকে শিখতে হলে আপনাকে একটি কাগজে লিখতে হবে যে, আপনার লক্ষ্য কি? আপনি কী শিখতে চান? এবং এই শেখার ক্ষেত্রে আপনি কী কী সার্চ করবেন? একটা বিষয় শিখতে হলে আপনার কী কী প্রয়োজনীয় তথ্য বা রিসোর্সের প্রয়োজন হবে। অনলাইনে তথ্যের ঘাটতি নেই। আপনি যদি সঠিক লক্ষ্য ঠিক না করে অনলাইনের বিশাল সমুদ্রে ঝাপ দেন তখন দেখবেন ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কিন্তু কোন দ্বীপের সন্ধানই আপনি পাননি। তাই যাই শিখতে চাইবেন সেই নিদ্রিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না।

অনলাইনে যেসব রিসোর্স সাইটগুলো থেকে আপনি শিখতে পারেন
ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য অনেক ধরণের সাইট রয়েছে তবে W3Schools সাইটটি থেকে আপনি ওয়েব ডিজাইনের প্রাথমিক জ্ঞান পেয়ে যাবেন। ইংরেজি শেখার জন্য https://learnenglish.britishcouncil.org ব্রিটিশ কাউন্সিলের এই সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। https://bbcjanala.ghoorilearning.com/ বিবিসি জানালা থেকেও ইংরেজি শিখতে পারেন। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি সাইট আছে https://www.britishcouncil.org.bd/bn/english/learn-online/websites এখান থেকেও আপনি ইংরেজি শেখার উপায়গুলো দেখে নিতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে অনেক সাইট আছে যেখান থেকে ইংরেজি শিখতে পারেন। এই সময়ে ইউটিউব হচ্ছে ভালো শেখার মাধ্যম। ইউটিউবে অনেক দক্ষ মানুষ নানা ধরণের কনটেন্ট তৈরি করছে। আপনি ইউটিউব থেকেও শিখতে পারেন। কোন কোন সাইট থেকে বিভিন্ন বিষয় শেখা এই সম্পর্কে আমাদের পরবর্তী পোস্টে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।

Leave a Comment