কাঁঠাল কেন খাবেন?

কাঠাল কেন খাবেন

বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম, শহর নেই যেখানে কাঠাল পাওয়া যায় না। কাঠাল অনেকে খায়। আবার অনেকে এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের কাঠাল আছে।

এক ধরণের কাঠাল পাঁকলে এর ভিতরের কোষগুলো বেশ শক্ত হয়। আবার আরেক ধরনের আছে যেগুলো খুব নরম হয়। কেই শক্ত কোষের কাঠাল পছন্দ করেন কেউ আবার নরম কোষের কাঠাল পছন্দ করেন। কাঠাল পুষ্টিগুনে সেরা। এই ফলে আছে রিবোফ্লোবিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, থায়ামিন, সোডিয়াম, নায়াসিন এবং জিঙ্ক। বলা হয়ে থাকে কাঠালের মৌসুমে কাঠাল খেলে অনেক ধরনের ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ হয়। কাঠালে প্রচুর পরিমানে আমিষ আছে, শর্করা আছে এবং ভিটামিন আছে।

কী কী উপকার করে?

ক. কাঠালের ভিটামিন সি রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
খ. কাঠালে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে।
গ. কাঠালে থাকা লিগনাস, সাপনিস নামের ফাইটোনিউট্রিয়্যান্ট ক্যান্সার প্রতিরোধক।
ঘ. কোল ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখের ভেতরের ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রানক্রিয়াটিক ক্যান্সার থেকে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ঙ. কাঁঠালে থাকা ফুক্টোজ ও সুকোজ চমৎকারভাবে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তের সুগারের মাত্রা কোনরকম না বাড়িয়েই।
চ. গর্ভবতী মা প্রতিদিন 200 গ্রাম পাঁকা কাঁঠাল খেলে গর্ভের শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয় এবং গর্ভের সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয়। এই কাঁঠালের সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে এটি মায়ের দুধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
ছ. কাঁঠাল ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। কাঁঠালের এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে ফেলে, ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় না। যারা চেহারার লাবন্য ধরে রাখতে চান তারা কাঠাল খেতে পারেন।
জ. কাঁঠালের রয়েছে এ্যাজমা প্রতিরোধের গুণাবলী। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুটিয়ে পানি খাওয়া হয় তাহলে এ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব।
ঝ. কাঠালের আলসার প্রতিরোধক গণাগুণের জন্য এটি আলসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে কাঁঠাল খেলে তা অন্ত্রের চলাচল সহজ করে।
ঞ. কাঠালে চর্বির পরিমাণ খুবই কম তাই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন ভয় নেই।
ট. কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন A আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
ঠ. উচ্চ রক্তচাপ কমায়। কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। 100 গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ 303 মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এজন্য কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়। উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

Leave a Comment