স্বরধ্বনির উচ্চারণ প্রক্রিয়া

স্বরধ্বনির উচ্চারণ প্রক্রিয়া


যে ধ্বনির উচ্চারণে ফুসফুস থেকে আসা বাতাস ধ্বনিদ্বারে কম্পন সৃষ্টি করে মুখবিবরের কোথাও বাধা না পেয়ে মুখগহ্ববর বা নাসিকা গহ্বর দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। বাতাসের নির্গমন কোনভাবে বাধা না পেলেও জিভের উচ্চনীচ অবস্থান, অগ্রপ্রশ্চাৎ গতি, ঠোঁটের আকৃতি পরিবর্তন এবং কোমল তালুর অবস্থান এই ধ্বনিগুলির চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করে। স্বরধ্বনির চরিত্র নির্ণয়ের জন্য মোটামুটি নীচের পাঁচটি মানদণ্ড অনুসারে স্বরধ্বনির বিচার করা হয়-

ক. জিভের উচ্চতা
খ. জিভের অগ্রপশ্চাৎ অবস্থান
গ. ঠোঁটের আকৃতি
ঘ. কোমল তালুর অবস্থান
গ. উচ্চারণ দৈর্ঘ্য

জিভের উচ্চতা অনুযায়ী বাংলা স্বরধ্বনির শ্রেণিবিভাগ
স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় জিভ কতটা উপরে ওঠে বা নামে সেই অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়।

ক. উচ্চ-স্বরধ্বনি
খ. নিম্ব-স্বরধ্বনি
গ. উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি
ঘ. নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি

ক. উচ্চ-স্বরধ্বনি
জিভ সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে, কিন্তু সে অবস্থান এত উঁচু নয় যে তা মুখের ছাগ স্পর্শ করবে বা বাতাস নির্গত হওয়ার সময় কোন ঘর্ষণধ্বনি উৎপন্ন হবে। বাংলার উচ্চ-স্বরধ্বনি দুইটি। যেমন: ই এবং উ।

খ. নিম্ব-স্বরধ্বনি
জিভ সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকে। বাংলা নিম্ন-স্বরধ্বনি একটাই। যেমন: অ

গ. উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি
জিভের উচ্চতম ও নিম্নতম অবস্থান দুটির মাঝের দূরত্বকে মোটামুটি সমান দুটিভাগে ভাগ করলে জিভ অপেক্ষাকৃত উপরের অবস্থানটিতে থাকার সময়ে যে স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয় তা উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি। বাংলায় উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি দুটি। যেমন: এ এবং ও

ঘ. নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি
যে স্বরধ্বনির উচ্চারণে জিভের অবস্থান উচ্চমধ্য ও নিম্ন-স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভের অবস্থানের মাঝামাঝি থাকে তাকেই নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি বলে। বাংলার নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি দুটি। যেমন: অ্যা এবং অ

Leave a Comment