ওয়েব সাইট এর ব্যাকলিংক করার নিয়ম

ওয়েব সাইট এর ব্যাকলিংক করার নিয়ম
গুগলে প্রথম পাতায় আসার জন্য নানা উপায়ের একটি হচ্ছে সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা। ব্যাকলিংক করতে হলে ভেবেচিন্তে করতে হবে। ভালো ব্যাকলিংক না হলে আবার হিতে বিপরিত হতে পারে। ভালো ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারলে ম্যাজিকের মত কাজ করে। ওয়েব সাইটে ভিজিটর আসতে থাকে আগের থেকেও অনেক বেশি। ওয়েব সাইটের ভালো কন্টেন্ট অনেক সময় সাইটের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়, ব্যাকলিংকের ওপর ভরসা না করে সাইটের কন্টেন্ট এর দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। একটি সাইটের ব্যাকলিংক যত হবে গুগুলের কাছে সাইটের গুরুত্বও বেড়ে যাবে। মান সম্মত ভিজিটর পাওয়ার জন্য সঠিক প্রচার পাওয়া খুব জরুরি। একটি সাইটে ভালো তথ্য থাকলে ব্যবহারকারীরা তাদের সাইটে এমনিতেই ব্যাকলিংক যোগ করবে। ব্যাকলিংক হচ্ছে একটি সাইটের লিংক অন্য একটি সাইটে লিংকের মাধ্যমে যুক্ত করা।

একটি ওয়েব সাইটের প্রচারণা কেমন করে করতে হবে?

একটি ওয়েব সাইটের প্রচারণা বিভিন্নভাবে করা যায়। অনলাইন ও অফলাইন। অনলাইন প্রচারণায় ব্যবহারকারীরা সাধারণত ব্লগের মাধ্যমে করে থাকে। ওয়েব সাইটের সাথে একটি ব্লগ সংযুক্ত থাকলে তখন নতুন নতুন সার্ভিস সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে ভালোভাবে জানানো যায়। অনলাইন প্রচারণার মধ্যে এখন খুব বেশি ব্যবহার হয় সামাজিক সাইটের মাধ্যমে প্রচারণা। সামাজিক সাইটে একটু ভালো ভালো কনটেন্টগুলো শেয়ার করা উচিত। নয়তো মানুষের বিরক্তির কারণ হবেন। মানুষ আর সাইটে ক্লিক করবে না। ভিজিট করবে না। অফলাইন প্রচারণার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, লিফল্যাট, নিউজ লেটারে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার। তাছাড়া ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমেও প্রচার করে থাকেন অনেকে। অনেকে বিভিন্ন দৃশ্যমান যায়গায় যেখানে লোকসমাগম হয় এমন যায়গায় স্টিকার লাগিয়ে রাখেন। মানুষ কৌতুহলি হলে সেই সাইটে প্রবেশ করে দেখে। ভিজিটর আসবে কিন্তু সেই ভিজিটরদের ধরে রাখা হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

আপনার সাইট গুগলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্যাজ র‌্যাঙ্ক চেক করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। তাই আগে প্রয়োজন সাইটকে গুগলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা। পেজ রেঙ্ক বেশি থাকলে সার্চ এর ফলাফল অটোমেটিকভাবে সামনের দিকে থাকবে।

ব্যাকলিংক বাড়ানোর কিছু মাধ্যম

লিংক বিনিময় করার মাধ্যমে
ভালো প্যাজ র‌্যাঙ্ক আছে এমন একটি সাইটের সাথে লিংক বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে সরাসরি ওয়েব এ্যাডমিন এর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে এই ধরনের ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। লিংক আদান প্রদানের বিভিন্ন ওয়েব সাইট আছে সেখান থেকেও লিংক বিনিময় করতে চায় এমন সাইটের ঠিকানা পাওয়া যায়।

ফোরামে লিংক পোস্ট করা
একটি ভালো পেজ র‌্যাঙ্ক আছে এমন ফোরামের প্রোফাইলে নিজের ওয়েব সাইটের লিংক যোগ করে দিতে হয়। পরবর্তীতে সেই ফোরামে কোন পোস্ট দিলে ওয়েব সাইটের ঠিকানা যোগ হয়ে যাবে। তখন সেখান থেকেও সাইটের জন্য ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।

আর্টিকেল জমা দেওয়া
বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে নিজের আর্টিক্যাল জমা দেওয়া যায় এবং আপনার ওয়েব সাইটের লিংকও যোগ করতে পারবেন। এভাবে সাইটের ব্যাংক লিংক করা যায়।

ওয়েব ডাইরেকটরি ও ব্লগে মন্তব্য করার মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি
বিভিন্ন ওয়েব ডাইরেকটরি ও ব্লগে মন্তব্য করার মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। যে ব্লগে মন্তব্য করলেন সেখানে আপনার সাইটের ঠিকানা যোগ করে দিলেন। কিন্তু মন্তব্য প্রাসঙ্গিক না হলে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। তখন ফল উল্টো হতে পারে।

ডুফলো ব্যাকলিংক ও নফলো ব্যকলিংক কাকে বলে?
নো ফলো ব্যাকলিংক
ধরুন আপনি অন্য কোন সাইটে আপনার কোন লিংক দিয়ে এলেন। ধরুন আপনি চাইছেন আপনার সাইটের ডোমেইন অথরিটি বেড়ে যাওয়ায় সেই লিংক কিছু ভ্যালু তৈরি করুক। এই প্রক্রিয়াকে বলে নোফলো ব্যাকলিংক। নোফলো ও ডুফলো লিংক সম্পর্কে এবং নফলো লিংক কীভাবে জেনারেট করতে হয় তার জন্য ডাব্লিউ থ্রি স্কুলস নামের একটি সাইট আছে সেখানে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। নোফলো ব্যাকলিংক গুগলের রোবট ভিজিট করে না। যার কারণে শেয়ার করা সাইটের সার্চ র‌্যাঙ্কিং কম থাকলেও আপনার সাইটে তার প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এই লিংকে গুগল দ্রুত র‌্যাঙ্ক করবে।

ডুফলো ব্যাকলিংক
অন্য কোন সাইটে যখন আপনি লিংক তৈরি করবেন তখন যদি সেই সাইটের এডমিন আপনার সাইটের লিংকে অনুমোদন দেয় তবে সেটা হবে ডু ফলো লিংক। এটি আপনার সাইটের র‌্যাঙ্ক বাড়াতে সহায়তা করে।

ব্যাকলিংক করার ক্ষেত্রে একটি সরল চিন্তা হল এই যে, আপনার থেকে পেজ রেঙ্ক ভালো আছে যে সাইটগুলোর শুধুমাত্র সেসব সাইটের সাথেই আপনার লিংক শেয়ার করুন। নয়তো আপনার সাইটের ভিউ ও গুগলে প্যাজ র‌্যাঙ্ক উভয়ই কমতে থাকবে। আর সাইট থেকে কোন আয়ও করা যাবে না।

Leave a Comment