প্রতিবেদন লেখার কৌশল ২

প্রতিবেদন লেখার কৌশল

রিপোর্ট বা প্রতিবেদন তৈরির জন্য যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন
ফলাফল: (Result)
পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন হলো ফলাফল।

ইনপুট : (Input)
ইনপুট হলো সেইগুলো যা একটি প্রকল্প তার অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে থাকে । এটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয় ফর্মে হতে পারে। নগদ অর্থ, পণ্য বা মেশিনারিজ ইত্যাদিকে হার্ডওয়্যার এবং প্রশিক্ষণ, কাউন্সেলিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রদত্ত শিক্ষণকে সফটওয়্যার ইনপুট বলে।

আউটপুট: (output)
আউটপুট হলো কোন কাজের (এ্যাকটিভিটি’র) ইমিডিয়েট রেজাল্ট- যা জ্ঞান ও সংগঠিত/ স্থাপিত হওয়ার সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত।
যেমন:
-অংশগ্রহণকারীগণ প্রশিক্ষণ শেষে গড়ে ৯০% নম্বর পেয়েছে ।
-কমিউনিটিতে ১০টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।

ইফেক্ট (Effect)
ইফেক্ট হলো সেই কাজটি বা শিক্ষণটিকে মানুষ যখন নিয়মিত চর্চায় নিয়ে নেয়।
যেমন :
-কৃষকরা জমিতে আধুনিক কৃষি কৌশল প্রয়োগ করছে।
-গ্রামবাসী নলকূপের পানি পান করছে।

ইম্প্যাক্ট (Impact)
ইম্প্যাক্ট হলো সেই কাজটি বা শিক্ষণটিকে নিয়মিত চর্চায় নেয়ার ফলে স্থায়ীভাবে (দীর্ঘ-মেয়াদী) মানুষের জীবনে সামগ্রীক কি কি পরিবর্তন এলো
যেমন :
-কৃষকরা ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে।
-ডায়রিয়া জনিত কারনে শিশু মৃত্যু হার কমে গেছে।

একটি উদাহরণ- এর মাধ্যমে টারমিনোলজিগুলো ব্যাখ্যা করা যেতে পারে:
ধরুন, স্বাস্থ্য সচেতনতার উপর ২০ (বিশ) জনকে একটি প্রশিক্ষণ দেয়া হলো । একটি প্রশিক্ষণ দেয়া হলো অর্থাৎ একটি কাজ ( এ্যাকটিভিটি) সম্পন্ন করা হলো । এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে শিক্ষণ দেয়া হলো তা হবে ইনপুট এবং এই কাজের ইমিডিয়েট রেজাল্ট বা আউটপুট হবে অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ শেষে গড়ে ৯০% নম্বর পেয়েছে।
 
পরবর্তীকালে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেল ২০ (বিশ) জনের মধ্যে ১৫ (পনেরো) জন মল ত্যাগের পর সাবান বা ছাই দিয়ে কিভাবে হাত পরিস্কার করা উচিত তা সঠিকভাবে বলতে পারে। এই অর্জনটিকেও আউটপুট পর্যায়ের অর্জন বলা হবে।
 
১৩ (তেরো) জন মল ত্যাগের পর সাবান বা ছাই দিয়ে হাত পরস্কিার করে অর্থাৎ শিক্ষণটিকে নিয়মিত চর্চায় নিয়েছে। এই অর্জনটিকে ইফেক্ট পর্যায়ের অর্জন বলা হবে।
 
আরো দেখা গেলো এই চর্চার ফলে ডায়রিয়া রোগের কারনে মৃত্যুর হার কমে গেছে। এই অর্জনটিকে ইম্প্যাক্ট পর্যায়ের অর্জন বলা হবে।

Leave a Comment